নীলফামারীর ডিমলায় ব্র্যাক এনজিও কর্তৃক চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায়
![](https://www.bdunionnews.com/wp-content/uploads/2021/07/212329983_3000545460267855_7629435562168116358_n.jpg)
শামসুদ্দিন, নীলফামারী প্রতিনিধি, আইডি-৯৮১,
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন চলছে। সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য লকডাউন চলাকালিন জরুরি প্রয়োজনে সরকারি কিছু দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা দিলেও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান একদম বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেন। কোন এনজিও মাঠ পর্যায়ের কোন কাজ করতে পারবে না মর্মে সরকার প্রজ্ঞাপনও জারি করেন।
তবে বাস্তবতা এর উল্টো, বিভিন্ন এনজিও তাদের কিস্তি ঠিকই আধায় করছে। ব্র্যাক তাদের মধ্যে অন্যতম। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়া শাখা কর্তৃক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়োমিত কিস্তি আধায় করা হচ্ছে। লকডাউনে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কর্ম হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় কিস্তি পরিষোধ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।
রবিবারে সরোজমিনে দেখা যায় ডালিয়া শাখার মাঠ কর্মী এসে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কলোনি পারায় কিস্তি আধায় করছেন। এ সময় তাকে লকডাউনে কিস্তি আধায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অফিসের নির্দেশে নিয়োমিত কিস্তি আধায় করছি। একজন গ্রাহক বলেন, একমাস পর পর কিস্তি নেয়ার কথা। গত মাসে আমরা ২০ তারিখে কিস্তি পরিষোধ করেছি। সে হিসেবে আজ ২১ তম দিন। সামনে ২০ তারিখ হল কিস্তি পরিষোধের ধার্য্য দিন। তখন ঈদের ছুটি থাকায় গ্রাহকের কথা বিবেচনা না করেই ১০ দিন আগে কিস্তি নিচ্ছে। এরকম রোজার ঈদেও করা হয়েছিলো। সরোজমিনে আরো দেখা যায়, কিছু ঋণ গ্রহীতা কিস্তি পরিষোধ করতে না পারলে তাদের চাপ প্রয়োগের জন্য লকডাউনের মধ্যেই সন্ধ্যা সারে ছয়টায় শাখা ম্যানেজার নিজে আসেন। এতেই বোঝা যায়, ঋণ গ্রহীতাদের কতটা চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আধায় করা হচ্ছে। কয়েকজন গ্রাহকের সাথে আলোচনা করে যানা যায়, কিস্তি পরিষধের জন্য এবার তাদের ভালোভাবে ঈদ করা সম্ভব হবে না।
ব্র্যাকের মতো এরকম নাম করা একটি এনজিও যদি ঋণ গ্রহীতাদের চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আধায় করে তাহলে অন্যান্য এনজিও গুলোর কি অবস্থা তা আচ করা যায়। সরকারি প্রজ্ঞাপন থাকলেও সঠিক তদারকি না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে অনেকের বিশ্বাস।