সামছুদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি(৬৯৬)
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ বাজারে বিজিবি সহ একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসলেন।মানুষের কানামাছি খেলা শুরু হয়ে গেল।এ ধরে নেন ম্যাজিস্ট্রেট পশ্চিম দিকে গেলো ,পাবলিক পূর্ব দিক থেকে উঁকি মারছে।তারা পূর্ব দিকে আসলো পশ্চিমের লোক উঁকি মারে।
বিজিবি দৌড়ালে দৌড় মারে।কিছুদুর গিয়ে ফের থামে।কেউ কেউ দৌড়ে গেলো তরকারি কিনতে ,কেউ কেউ ফার্মেসীতে,মুদিতেও কিছু মানুষ দাড়িয়ে এটা ওটা কেনার অভিনয় করছে।
অপরদিকে বিজিবিকে দেখাতে গিয়ে তরকারি কিনেছে এক লোক।বিজিবি চলে যাওয়ার পর তা ফেরত দিতে গিয়ে তর্কে জড়িয়ে গেলো দোকানি আর সে অভিনয়কারী ক্রেতা।এভাবে চলতে থাকলে পুলিশ ,বিজিবি ,ম্যাজিস্ট্রেট,ডাক্তাররাই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।উদ্দেশ্য সফল হবে না।
দিনে দিনে বাংলাদেশে করোনার রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে, নোয়াখালীর সেনবাগেও একই অবস্থা বিরাজমান। আজ ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে, তার মধ্যে ২৬ জন আক্রান্ত,অন্তত মাস্ক পরুন।পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।ভিড় এডিয়ে চলুন।এতে অন্তত নিজে ,পাশের জন ও পরিবারে সংক্রমণের সম্ভবনা কমে আসবে।আমরা যারা লকডাউনের বিপক্ষে বলছি ঠিক তারা যদি মাস্ক পরতাম ,স্বাস্থ্যবিধি মানতাম তবে এ লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন পড়তো না।আমাদেরই কারনে মৃত্যু ও শনাক্তের হার বেড়েছে।এখন আমাদেরই ফের ভাবতে হবে।
সাথে খেয়াল রাখতে হবে ,আস-পাশের মানুষের।কেউ না খেয়ে থাকলে যারা স্বচ্ছল তারা তার পাশে দাঁড়ান ,যারা শিক্ষিত আছেন তারা সে অসহায় পরিবারের হয়ে ৩৩৩ তে ফোন দিন খাদ্য সহায়তার জন্য।যারা সামাজিক মাধ্যমে আছেন তারা প্রয়োজনে অসহায় মানুষটির হয়ে 01705401000 ডিসি অফিসের এ নাম্বারে প্রকৃত অসহায় পরিবারের ঠিকানা লিখে এসএমএস করুন।