সিলেটে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমাদাতা জোগাড় করে দিচ্ছে “ইমার্জেন্সি প্লাজমা কালেকশন টিম সিলেট”
উসমান ফাহিয়াজ পলাশ ,সিলেট প্রতিনিধি :সিলেটে ৫৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীকে প্লাজমাদাতা জোগাড় করে দিল ইমার্জেন্সি প্লাজমা কালেকশম টিম সিলেট।
চারদিকে করোনা মহামারীর ছোবলে যেখানে আজ বিশ্ব থমকে গেছে সেখানে এগিয়ে এসেছেন মানবতার তরে অন্ধকারে আলোর খোঁজে এক ঝাঁক ঝলমলে আকাশের তারার মতো সিলেটের কিছু তরুন স্বেচ্ছাসেবীরা। তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে “ভয় নয় সচেতনতা হোক আমাদের মূল চালিকাশক্তি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সবার সহযোগিতায় “ইমার্জেন্সি প্লাজমা কালেকশম টিম, সিলেট” নামে একটি টিম গঠন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সিলেট বিভাগের একমাত্র অফলাইন এবং অনলাইন ভিত্তিক টিম যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এখন পর্যন্ত শুধু সিলেটে বিভাগের ৫৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত আইসিইউতে ভর্তি রোগীকে প্লাজমাদাতা জোগাড় করে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এই টিমের মাধ্যমে সিলেট বিভাগে ১ম প্লাজমাদাতা ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছিল এছাড়া সিলেট বিভাগের একমাত্র প্লাজমাদাতা এই টিমের টিম লিডার আবু মুসা মোস্তফা । যিনি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে সবার দোয়ায় এবং ভালোবাসায় ৪ বার প্লাজমা দান করতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রতিবারেই তিনি ৪০০এমএল করে মোট ১৬০০ এমএল প্লাজমা দিয়ে ৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত আইসিইউতে ভর্তি রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন।
সিলেট বিভাগের কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ডাক্তার, স্বেচ্ছাসেবীসহ সব ধরনের মানুষেরা যারা প্লাজমা দিতে সক্ষম হয়েছেন । তারা এই টিমের মাধ্যমে সিলেটে প্লাজমা দিতে পেরেছেন বলে প্লাজমাদাতা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন।
উল্লেখ্য যে, এই টিম সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্লাজমাদাতার লিস্ট সংগ্রহ করে এবং তাদেরকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক দিক নির্দেশনা দিয়ে প্লাজমা দিতে উদ্ভূত করা হয়েছে। উক্ত টিমে একমাত্র উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মাউন্ট এডোরা হসপিটালের ডাঃ সৌরভ দেব রাজ। এছাড়া টিমের মধ্যে যে সকল সদস্যরা নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন – প্রধান সমন্বয়ক মুক্তার হোসেন মান্না,সহ-সমন্বয়ক এনাম উদ্দিন , সিলেট বিভাগের একমাত্র ৪বার প্লাজমাদাতা আবু মুসা মোস্তফা মুহিবুর রহমান সুয়েব,রবিউল ইসলাম রবি,তানিম খান,জয়নুদ্দিন জয়,মুক্তার আহমদ রাসেল,শামিম আর রহমান, হোসাইন আহমেদ কাউসার সহ প্রমুখ।