ডিএনসিসি রাজস্ব পাচ্ছে না
বছরের পর বছর হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছে না সরকারের নানা প্রতিষ্ঠান। ৩২টি মন্ত্রণালয় থেকে ডিএনসিসির পাওনা ৫৮ কোটি টাকা। কর দিচ্ছে না ইউনাইটেড হাসপাতাল, উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো বেশ কিছু বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। তারা আদালতে মামলা করায় আটকে আছে ৫৫ কোটি টাকা। এ অবস্থায় উত্তর ঢাকার মেয়র বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানকে এবার কর দিতে বাধ্য করা হবে।
ইউনাইটেড হাসপাতাল। উত্তর সিটির রাজস্ব বিভাগের নথি বলছে দীর্ঘদিন হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছে না তারা। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বেশি ট্যাক্স ধার্য করেছে সিটি করপোরেশন, তাই আদালতে আপিল করেছেন তারা।
একই অবস্থা উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর স্কুল, তিতুমীর কলেজসহ আরো কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের। এদের অনেকেই বেশি করের অজুহাতে গেছেন আদালতে। সেখানে আটেকে ৫৫ কোটি টাকা।
শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, বছরের পর বছর হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছে না সরকারের নানা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে, পরিমাণ ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্তের কাছে পাওনা ১৫ কোটি ১৬ লাখ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ৪৭ লাখ টাকা। এমন ৩২ মন্ত্রণালয়ের কাছে ৫৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ট্যাক্স পাবে ডিএনসিসি।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানালেন, করদাতা ও গ্রহীতাকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান।
তবে উত্তর ঢাকার মেয়র বলছেন, এরই মধ্যে করের পরিধি বাড়াতে চলছে জোর অভিযান। কর আদায়ে এবার প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে ডিএনসিসি।
পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডিএসিসির অভিযানে ৬ হাজার ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। যেখানে প্রায় এক হাজার ভবন ও সাড়ে নয়শো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে করের আওতায় আনা হয়েছে।