৫৩৪ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শামুক সংরক্ষণের পাশাপাশি ঝিনুক সংরক্ষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক উন্নয়ন করাসহ চার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যয় ৪৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। একনেকের অন্য সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস ও আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, শামুক সংরক্ষণের পাশাপাশি ঝিনুক সংরক্ষণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক যদি আরো সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়, তাহলে জমি দেবে সরকার। ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণে আরবান
রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের আওতায় ঢাকার জন্য একটি ঝুঁকি ম্যাপ তৈরি করা হবে। এতে বোঝা যাবে কোন এলাকা কতটা ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট কাটাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য অনুমোদন পেয়েছে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি। ফলে নারীদের উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়বে। শামুক ও দেশীয় মাছ সংরক্ষণের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে দেশীয় সব প্রাণী সংরক্ষণ করা হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট রাজউক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ১৪৭ কোটি, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় ২০২ কোটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ প্রদর্শনী করা হবে। ১১০টি ধানক্ষেতে মাছ চাষ প্রদর্শনী ও ৩৯১টি পেনে মাছচাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। মত্স্য সেক্টরসংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ১৬ শতাংশ বাড়ানো হবে।